IMG-LOGO

products

Home / Products
Gopalvog

আম মৌসুমের শুরু হয় এই জাতের আম দিয়ে। খুব সামান্য কিছু পরিমাণ ও অল্প সময়ে বাগানে পাওয়া যায়। মূলত এই আম চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ নিজেদের ঘরে খাওয়ার জন্য গাছে রাখে। এটি মিষ্টি সুঘ্রাণযুক্ত ও সুস্বাদু আম কিন্তু মিষ্টতা তীব্র নয়।বাংলাদেশে উৎকৃষ্ট জাতের আমগুলোর মধ্যে গোপালভোগ অন্যতম। উৎকৃষ্ট শ্রেনির গোপালভোগ আম উৎপাদিত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর জেলায়। গোপালভোগ আম দেখতে গোলাকার এবং মাঝারি আকৃতির। আমের ওজন ২০০ থেকে ৪৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে পাওয়া যায়।

Khirsapat

খিরসাপাত: খিরসাপাত আম বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃত। চাঁপাইনবাবগঞ্জের "খিরসাপাত" আম বাংলাদেশের তৃতীয় ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। জানা যায়, প্রায় ২০০ বছর আগে ময়মনসিংহের মহারাজা সুতাংশু কুমার আচার্য্য বাহাদুর চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে একটি আমবাগান গড়ে তোলেন। সেই বাগানেই প্রথম খিরসাপাত আম চাষ শুরু হয়। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে খিরসাপাত আম উৎপাদন করা হয়। উন্নতজাতের আমের মধ্যে খিরসাপাত আম অন্যতম। আমটি মাঝারি আকৃতির ও গোলাকার। আমের বোঁটা বেশ মোটা এবং শক্ত। ত্বক মসৃণ,পাকলে বাইরের ঊর্ধ্বাংশ অর্থাৎ বোঁটার আশপাশে হলুদ রং ধারণ করে। ফলটি সুগন্ধযুক্ত, রসালো ও অত্যন্ত মিষ্টি স্বাদের। মিষ্টি সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য জনপ্রিয়তার দিক থেকে এ আমের স্থান শীর্ষে। বর্তমানে বাংলাদেশের উৎপাদিত আমের ৩০ শতাংশই খিরসাপাত আম। তবে গুণে ও মানে চাঁপাই নবাবগঞ্জের বাগানে উৎপাদিত খিরসাপাত আম সর্বোৎকৃষ্ট।

Lengra

ল্যাংড়া: আমের একটি বিখ্যাত জাত হল ল্যাংড়া আম যা ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে উৎপাদিত হয়। আমাদের দেশে উৎকৃষ্ট জাতের আমগুলোর মধ্যে ল্যাংড়া সবচেয়ে জনপ্রিয়। এ আমের উদ্ভব হয়েছে ভারতের বেনারাসে। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় এ আম উৎপাদন করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী,নওগাঁ ও নাটোর এলাকায় বেশি পাওয়া যায়। কথিত আছে, আঠার শতকে এক ফকির সুস্বাদু এই আমের চাষ করতেন। ফকিরের পায়ে কিছু সমস্যা ছিল। সেই থেকে এই আমের নামকরণ করা হয় "ল্যাংড়া"। ল্যাংড়া আম আমটি আকৃতিতে অনেকটা ডিম্বাকার গোলাকৃতি। পাকা অবস্থায় ল্যাংড়া আম হালকা সবুজ থেকে হালকা হলুদ রাং ধারণ করে। ফলের শাঁস হলুদাভ। অত্যন্ত রসাল এই আন্টির মিষ্টতার পরিমাণ গড়ে ১৯.৭%। বোঁটা চিকন। আটি অত্যন্ত পাতলা। খাওয়ার উপযোগী অংশ ৭৩.১% এবং ওজন ৩১৪.১ গ্রাম। জুলাই মাসের দিকে এই আম পাকতে শুরু করে এবং বাজারে পাওয়া যায়।

Amrupali

আম্রপালি: বাণিজ্যিকভাবে সবচেয়ে সফল এবং বাংলাদেশে বর্তমানে অন্যতম জনপ্রিয় আম হচ্ছে আম্রপালি। ১৯৭১ সালে এই হাইব্রিড জাতটি উদ্ভাবন করা হয়। দাশেরি ও নিলুম জাতের দুইটি আমের সংকরায়ণ হল আম্রপালি আম যা ভারতীয় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, দিল্লি আবিষ্কার করে । এই আমের নামকরণ করা হয় প্রাচীন ভারতের বৈশালী রাজ্যের বিখ্যাত নর্তকী আম্রপালির নামে। বাংলাদেশের আবহাওয়া ও মাটির কারণে অন্যান্য আমের থেকে এই আমের ফলন বেশ ভালো। এই জাতের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উন্নত জাতের আম গাছে এক বছর ফলে, পরের বছর ফলে না। কিন্তু আম্রপালি প্রতিবছর ফলে। এই আমের মিষ্টতা অত্যধিক। কম জমিতে অধিক পরিমাণে এই আম উৎপাদন করা যায়। আমটি রসাল, সুস্বাদু এবং সুগন্ধযুক্ত তবে কোনো আঁশ নেই। এই গাছের জীবনকাল সংক্ষিপ্ত।

Fazli

ফজলি: মৌসুমী ফল আমের অন্যতম একটি জাত ফজলি আম। সম্প্রতি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী উভয় জেলার "ফজলি" আম ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমের অন্যান্য প্রজাতির থেকে দেরিতে উৎপাদিত হয় এই ফল। সাধারণত জ্যাম ও আচার তৈরিতে ফজলি আম অধিক জনপ্রিয়। আমটি আকারে বেশ বড় হয়। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, দিনাজপুর, সাতক্ষীরাসহ দেশের প্রায় সব অঞ্চলে ফজলি আম পাওয়া যায়। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং রাজশাহী অঞ্চলের ফজলি আম সব থেকে বিখ্যাত, প্রসিদ্ধ ও উন্নতমানের। গড় ওজন সাধারণত ৬০০-৬৫০ গ্রাম। তবে একটি ফজলি আম ১ কেজি বা তার থেকেও বেশি ওজনের হতে পারে। পাকার সময় হলে গায়ের রঙ বিশেষত উপরের অংশ হালকা হলুদ হয়ে উঠে। শাস হলুদ, আশবিহীন, রসালো, সুগন্ধযুক্ত, সুস্বাদু ও মিষ্টি। এই আমের মিষ্টির পরিমান গড়ে ১৭-১৮% । সাধারণত জুলাই ও আগস্ট মাসে এই আম বাজারে পাওয়া যায়।

Bari-4

বারি-৪: বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট (BARI) কর্তৃক উদ্ভাবিত দেশের প্রথম উচ্চ ফলনশীল সংকর জাতের আম বারি-৪। আমেরিকান পুং ফ্লোরিডা এম-৩৮৮৬ ও স্ত্রী স্থানীয় আশিনা আমের মধ্যে সংকরায়ন করে BARI এর আঞ্চলিক উদ্যান গবেষণা স্টেশন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমটি উদ্ভাবন করা হয়। আমটি অনেক দেরিতে বাজারে আসে, ফলে আমের চাহিদা থাকে অনেক বেশী। একটি আম গাছে প্রতিবছর ফলন দেয়। বারি-৪ আম প্রায় গোল আকৃতির এবং খোসার রং উজ্জ্বল হলুদ । আমটির খোসা পাতলা আবরণে আবৃত। আমটি খুবই রসাল ও মিষ্টি এবং এই আমে কোনো আঁশ নেই । তাছাড়া এই আম কাঁচা অবস্থায়ও মিষ্টি হয় । এই আমের গড় ওজন প্রায় ৬৫০ গ্ৰাম । আগস্ট মাসে এই আম বাজারে পাওয়া যায়। চাহিদা বেশি থাকায় আম বেশ চড়া দামে বিক্রি হয়।

Ashina

আশ্বিনা : আশ্বিনা আম নাবি জাতের আম। বাজার থেকে সব ধরনের আম যখন শেষ হয়ে যায় তখন আশ্বিনা আম বাজারে আসে। আমটি উৎকৃষ্ট জাতসমূহের তুলনায় মানের দিক থেকে কিছুটা নিম্ন তবে এর চাহিদা এবং বাণিজ্যিক সফলতা অনেক উৎকৃষ্ট জাতের তুলনায় অনেক বেশি। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ছোট-বড় আমবাগানে মালিকগণ সাধারণত আশ্বিনা আমকে কেন্দ্র করেই নিজেদের আর্থিক সফলতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করে চলেছেন আশ্বিনা আমার আকার ফজলি আমের প্রায় সমতুল্য।এর ত্বকের রং কালচে ও সবুজ। মুকুল আসার পর এই জাতের আম পক্তে প্রায় ৫-৬ মাস সময় লাগে। সাধারণত বর্ষাকালে এই আম পাকে। এই আম তুলনামূলক কম মিষ্টি।কাচা অবস্থায় খেতে টক।আশ্বিনা পাকা আম খেতে কিছুটা আনারসের মত। নাবি জাতের আম হওয়ায় এতে প্রচুর মুনাফা রয়েছে। এটি মৌসুমের শেষ জাতের আম। বাংলাদেশে এই আম সব জেলায় কমবেশী পাওয়া যায়।তবে সব থেকে বেশি দেখতে পাওয়া যায় আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।

Subscribe Newsletter.

Get e-mail updates about our latest shop and special offers.